Adity Mukerjee's Realisation while watching Dangal - The Movie
Love You Baba
তোমার থেকে বেশী ভালো বাসতে আর কেউ কোনোদিন পারেওনি,কোনোদিন পারবেও না।আমার ভালো তোমার থেকে বেশী কেউ কোনোদিন চায়নি,কোনোদিন হয়তো কেউ চাইবেও না...
সিনেমাটা দেখতে দেখতে মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিকের সময়ের কথা মনে পড়ে গেল।বরাবরই ফাঁকিবাজ ছিলাম।বাবা পাশে বসে না থাকলে আমি জানলার বাইরে তাকিয়ে বসে থাকতাম।মা হলেও আমার কাজ চলত না...
উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলাম, 'ইংরাজী' অনার্স নিয়ে ভর্তি হলাম কলেজে।বাবা 'কেমিস্ট্রি' শিক্ষক।এখন আর বাবা আমাকে পড়ায় না।তাই আর পাশে বসেও না।প্রথম প্রথম ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগতো।বেশ একটা স্বাধীনতার স্বাদ।'পার্ট ওয়ান' এর রেজাল্ট বেরোলো।আশানুরূপ ফল হলো না।পাশের চেয়ারের শূন্যতাটা অনুভব করলাম।ছোটবেলা থেকে দেখে আসা চোখ রাঙানিটার মূল্য বুঝলাম।জীবনে প্রথমবার বাবাকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদলাম (এতোদিন বাবা মারত আর আমি বাবার পায়ের কাছে বসে কাঁদতাম)।বললাম, "বাবা,আমার খুব ভয় করছে।"
বাবা মাথায় হাত রেখে বলল, "কি করব বল মা ? এই সাবজেক্ট যে আমি পড়াতে পারিনা !"
আমি বললাম, "বাবা,তুমি শুধু আবার আগের মতো আমার পাশের চেয়ারটায় বসো।"
বাবা বসলো পাশের চেয়ারে।গ্রাজুয়েট হলাম,মাষ্টারস করলাম।বাবা বলল, "মেয়ের সাথে সাথে আমিও এখন ইংরেজি এম.এ।পরীক্ষা দিলে আমি ওর থেকে বেশী নম্বর পাবো।"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম।এবার কমপিউটার।বাবা বলল, "আরে,এতো আমাদের আমলের টাইপ রাইটারের মতো।এ আমি তোর আগে শিখে যাবো।Challenge ?"
পোস্ট গ্রাজুয়েশন রেজাল্ট বেরোলো।সার্টিফিকেট নিয়ে খুব লাফালাফি করছি।বাবা হাসতে হাসতে দাদাইকে বলল, "এবার থেকে আমি কেমিস্ট্রি,ইংরাজী,Web Technology...তিনটে বিষয়ই পড়াতে পারব।আপনার নাতনি তো শুধু বসে বসে নক্সা আঁকছে।"
তখন শুধু Graphics & Web Designing-এর কাজ করি (Freelance)।প্রথম উপার্জনের টাকা হাতে পেলাম।খুব আনন্দ।বাবার কাছে গেলাম টাকাটা দিতে।নিল না।বলল, "প্রথম উপার্জনের টাকা।পারলে মা'কে একটা শাড়ি কিনে দিস।"
কিন্তু,ছোটবেলা থেকেই আমার অভ্যাস,বাবাকে ছাড়া কোনো কিছুতেই শান্তি নেই।তাই ভাবলাম,বাবাকে কিছু একটা উপহার দেব।কিন্তু কি দেব ? আমার বাবার তো কোনো শখই নেই।শুধু পড়াশোনা ছাড়া।অনেক মাথা খাটিয়ে শেষে একটা কালো ব্যান্ডের Maxima 'ঘড়ি' কিনলাম।বাড়িতে এসে খুব ভয়ে ভয়ে পড়িয়ে দিলাম বাবার হাতে।বাবাকে অতটা খুশি হতে আর কোনোদিন দেখিনি।সেই দিন থেকে বাবা ওই ঘড়িটা ছাড়া আর অন্য কোনো ঘড়ি পড়ে না !
তোমার থেকে বেশী ভালো বাসতে আর কেউ কোনোদিন পারেওনি,কোনোদিন পারবেও না।আমার ভালো তোমার থেকে বেশী কেউ কোনোদিন চায়নি,কোনোদিন হয়তো কেউ চাইবেও না...
সিনেমাটা দেখতে দেখতে মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিকের সময়ের কথা মনে পড়ে গেল।বরাবরই ফাঁকিবাজ ছিলাম।বাবা পাশে বসে না থাকলে আমি জানলার বাইরে তাকিয়ে বসে থাকতাম।মা হলেও আমার কাজ চলত না...
উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলাম, 'ইংরাজী' অনার্স নিয়ে ভর্তি হলাম কলেজে।বাবা 'কেমিস্ট্রি' শিক্ষক।এখন আর বাবা আমাকে পড়ায় না।তাই আর পাশে বসেও না।প্রথম প্রথম ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগতো।বেশ একটা স্বাধীনতার স্বাদ।'পার্ট ওয়ান' এর রেজাল্ট বেরোলো।আশানুরূপ ফল হলো না।পাশের চেয়ারের শূন্যতাটা অনুভব করলাম।ছোটবেলা থেকে দেখে আসা চোখ রাঙানিটার মূল্য বুঝলাম।জীবনে প্রথমবার বাবাকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদলাম (এতোদিন বাবা মারত আর আমি বাবার পায়ের কাছে বসে কাঁদতাম)।বললাম, "বাবা,আমার খুব ভয় করছে।"
বাবা মাথায় হাত রেখে বলল, "কি করব বল মা ? এই সাবজেক্ট যে আমি পড়াতে পারিনা !"
আমি বললাম, "বাবা,তুমি শুধু আবার আগের মতো আমার পাশের চেয়ারটায় বসো।"
বাবা বসলো পাশের চেয়ারে।গ্রাজুয়েট হলাম,মাষ্টারস করলাম।বাবা বলল, "মেয়ের সাথে সাথে আমিও এখন ইংরেজি এম.এ।পরীক্ষা দিলে আমি ওর থেকে বেশী নম্বর পাবো।"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম।এবার কমপিউটার।বাবা বলল, "আরে,এতো আমাদের আমলের টাইপ রাইটারের মতো।এ আমি তোর আগে শিখে যাবো।Challenge ?"
পোস্ট গ্রাজুয়েশন রেজাল্ট বেরোলো।সার্টিফিকেট নিয়ে খুব লাফালাফি করছি।বাবা হাসতে হাসতে দাদাইকে বলল, "এবার থেকে আমি কেমিস্ট্রি,ইংরাজী,Web Technology...তিনটে বিষয়ই পড়াতে পারব।আপনার নাতনি তো শুধু বসে বসে নক্সা আঁকছে।"
তখন শুধু Graphics & Web Designing-এর কাজ করি (Freelance)।প্রথম উপার্জনের টাকা হাতে পেলাম।খুব আনন্দ।বাবার কাছে গেলাম টাকাটা দিতে।নিল না।বলল, "প্রথম উপার্জনের টাকা।পারলে মা'কে একটা শাড়ি কিনে দিস।"
কিন্তু,ছোটবেলা থেকেই আমার অভ্যাস,বাবাকে ছাড়া কোনো কিছুতেই শান্তি নেই।তাই ভাবলাম,বাবাকে কিছু একটা উপহার দেব।কিন্তু কি দেব ? আমার বাবার তো কোনো শখই নেই।শুধু পড়াশোনা ছাড়া।অনেক মাথা খাটিয়ে শেষে একটা কালো ব্যান্ডের Maxima 'ঘড়ি' কিনলাম।বাড়িতে এসে খুব ভয়ে ভয়ে পড়িয়ে দিলাম বাবার হাতে।বাবাকে অতটা খুশি হতে আর কোনোদিন দেখিনি।সেই দিন থেকে বাবা ওই ঘড়িটা ছাড়া আর অন্য কোনো ঘড়ি পড়ে না !
No comments: